১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ঘুমের সময় পরিবর্তন করলেই কমবে ওজন!

আপনি জানেন কি? আপনার ঘুমে অনিয়মের কারণে আপনার শরীরে ওজন বৃদ্ধির আধিক্য থাকতে পারে। ঘুম আমাদের ক্লান্ত শরীরকে সবল করে তোলে। ঘুমের পরিমাণ আপনার হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে। আপনার হরমোনাল কার্যক্ষমতা প্রভাবিত হবার ফলে, ভারসাম্যহীনতার জন্য আপনার শরীরে বিপাক প্রণালীকে এবং আপনার ক্ষুধাকেও প্রভাবিত করে।

ঘুম বঞ্চিত শরীর ক্ষুধার্ত থাকে বেশি এতে বেশী খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। শরীরের পক্ষে প্রয়োজনের বেশি ক্যালোরির ব্যাবহার করে ওঠা কঠিন হয়ে পড়ে। ঘুমের অভাবে শরীরের স্বাভাবিক গ্লুকোজ পাচন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এবং সেই অতিরিক্ত গ্লুকোজ তখন মেদে রুপান্তরিত হয়ে জমতে থাকে। এছাড়া কর্টিশল নামক স্ট্রেস্জনিত হরমোনের উৎপত্তিও বৃদ্ধি পায়, যা আপনার ক্ষুধার সঞ্চার করে।

আপনি যখন অতিমাত্রায় মানসিক চাপে থাকবেন তখন অপ্রয়োজনীয় খাওয়ার মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। ঘুম ও খাওয়া-দুটোই যখন স্বাভাবিক থাকে তখন শরীরে কর্মক্ষমতাও অনেক বেশী থাকে। তাহলেই বোঝা যায় ঘুমের সাথে শরীরের ওজনের সম্পর্ক আছে। ওজন নিয়ণ্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টায় বহুবিধ কারণ জড়িত। বেশ কিছু কারণ যেমন বংশগত প্রাপ্তি, বাকি সব পরিবেশজনিত ও জীবনধারার সাথে সম্পর্ক রাখে। তা সত্ত্বেও ঘুম এমন এক জিনিস যা শরীরের ওজন কম বা বেশী করতে অনেকাংশ সহায়ক। তাই তাকে অবহেলা করা উচিত না।

রাতে ঠিকমত ঘুমোলে আপনি নিশ্চয়ই অতিরিক্ত স্ন্যাকস খাবেন না। এই পদ্ধতিতে আপনার ক্যালরি গ্রহণ মাত্রা কমবে। আমাদের মাঝরাতে বেশী খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায় বিষণ্নতা বা অনিদ্রার কারণে। যতই কম পরিমাণে খান, আপনার শরীর যদি ঘুম বঞ্চিত থাকে, তখন মেদ কমানোর পদ্ধতি অনেক সক্ষম রুপে কাজ করে না। আপনার শরীর যদি “ক্ষুধার্ত থাকে”, তখন সব খাবার বেশীর ভাগ অংশই মেদে পরিণত হয়ে জমতে থাকে। এই অবস্থায় তখনই হবে যখন আপনি কম খাবেন এবং কম ঘুমোচ্ছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে রোজ এক সময় ঘুমোনো এবং উঠলে নিয়মিত রুপে, ওজন নিয়ণ্ত্রণে রাখার অনায়াস সহায়ক। যদি ঘুমের মেয়াদ নিয়ে ভাবতে হয়, তাহলে গবেষণায় দেখা গেছে ৬ ঘন্টার কম বা ৮ ঘন্টার বেশী – দুটোই সময়ের সাথে প্রভাব ফেলে মানুষের ওজনের ওপর। তাই রাত ১১টার মাঝে ঘুমিয়ে পড়ুন এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ফেইসবুকে চাটখিল নিউজ ২৪ ডট কম


Shares